ভূমিকাঃ
––––বর্তমানে একটি অত্যন্ত আলোচিত এবং উদ্বেগজনক বিষয়। এটি দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ জীবন প্রবাহকে বিভিন্নভাবে ব্যাহত করে। এটি আমাদের সামাজিক বিশৃঙ্খলারও মূল কারণ।
কারণঃ
যেকোন সমস্যার পিছনে কিছু কারণ থাকে। এর প্রধান কারণগুলো হলো জনগণের অসচেতনতা, নিরক্ষরতা ও সমন্বয়ের অভাব। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাও এর অন্যতম প্রধান কারণ। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আমাদের খাদ্য, আবাস, পোশাক, কর্মসংস্থান ইত্যাদি আমাদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার তুলনায় অনেক কম।
ফলাফলঃ
রবার্ট জি. ইনগাসল বলেছিলেন, “প্রকৃতিতে পুরষ্কার বা শাস্তি কোনটিই নেই; আছে পরিণতি।” অর্থাৎ, যেমন কর্ম তেমন ফল। এর নেতিবাচক পরিণতিগুলো অবর্ণনীয়। এটি মানুষকে দারিদ্র্য ও মানসিক যন্ত্রণার দিকে চালিত করে। এটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণে আমরা জাতি হিসাবে অনেক পিছিয়ে পড়ি।
সমাধান/প্রতিকারঃ
আগাথা ক্রিস্টি বলেছিলেন, “প্রতিটি সমস্যার কাছে একটি সহজ সমাধান রয়েছে।” এক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনা, নিয়মিত তদারকি, সাশ্রয়ী জীবনযাপন ও সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর জন্মভূমি নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সংশ্লিষ্ট মহলগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে আইন প্রয়োগের চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের মতো গণমাধ্যমগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
উপসংহারঃ
উপরে প্রদত্ত সমস্ত বিবৃতি থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, আমরা এই সমস্যাটি সমাধানে একসাথে কাজ না করলে দেশের কোনো উন্নয়ন প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না। সুতরাং, আমাদের সবার এটি সমাধান করতে এগিয়ে আসা উচিত।
আমাদের কলেজিয়েট পাবলিকেশন্স এর বই থেকে সংগৃহীত। বইটি কিনতে রকমারিতে অর্ডার করতে কল করুন: ১৬২৯৭ নাম্বারে।
Collegiate Basic English
No comments:
Post a Comment